সোমবার (৮ জুন) জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (৯ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মারিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা তথ্য-উপাত্ত দেখে মনে হচ্ছে, উপসর্গহীন কোনো করোনা আক্রান্তের মাধ্যমে সুস্থ কারো মাঝে ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বিরল।
‘করোনা আক্রান্তের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করছে এমন বেশ কিছু দেশের প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসেছে। এসব দেশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে দেখছে যে, তাদের মাধ্যমে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি। তাদের দ্বারা কারো আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব বিরল। এ ব্যাপারে আরও আরও জানতে আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ করছি, যাতে এ নিয়ে সব ধরনের জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া যায়। ’
করোনা ছড়ানোর প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, করোনা আক্রান্ত কারো হাঁচি-কাশির কণার মাধ্যমে মূলত এটি ছড়ায়। আমরা যদি উপসর্গবাহীদের আইসোলেট করি, তাদের সংস্পর্শে যাওয়াদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন করি। তাহলে ব্যাপক মাত্রায় করোনার সংক্রমণ কমাতে পারবো।
হালকা অসুস্থতায় ভোগা অনেকেই নিজেদের উপসর্গহীন বা করোনায় আক্রান্ত নন ভাবতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, আমরা যখন উপসর্গহীন অনেকের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছি, দেখা গেছে যে, তাদের হালকা অসুস্থতা ছিল। সেগুলো হয়তো করোনার তথাকথিত উপসর্গ, যেমন- বিশেষ ধরনের কাশি, বা শ্বাসকষ্ট নয়, কিন্তু তারা হালকা অসুস্থ ছিলেন।
হালকা অসুস্থতা বিষয়ে অসচেতন, এ ধরনের কারো মাধ্যমে হয়তো করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে পুরোপুরি অসুস্থতা অধ করার আগে আগে করোনা সংক্রমিত অনেকের মাঝেই প্রাক-উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ঘটে।
এপ্রিলে এক গবেষণায় দেখা যায়, লক্ষণ দেখা দেওয়ার দুই-তিন দিন আগে থেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র মনে করছে, আক্রান্ত অসুস্থ বোধ করার আগেই অন্যকে সংক্রমিত করছে, এমন ঘটনা ৪০ শতাংশ। তারা আসলে উপসর্গহীন নয়, ফলে উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে আগে তাদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়।
তবে উপসর্গ দেখা দেওয়াদের আইসোলেট ও তাদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতে পারলে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এইচজে