করোনার সূত্রপাতের পর একে ঠেকাতে ২৩ মার্চ প্রথম লকডাউনে যায় যুক্তরাজ্য। কিন্তু, এর এক সপ্তাহ আগে যদি ওই লকডাউন কার্যকর করা হতো, তাহলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা অর্ধেক থাকতো বলে দাবি করেছেন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন।
ফার্গুসন করোনা পরিস্থিতিতেও যুক্তরাজ্য সরকারকে জরুরি সব পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। যাদের বিশেষ পরামর্শে যুক্তরাজ্য লকডাউনে যায়, প্রফেসর নিল ফার্গুসন তাদের অন্যতম প্রধান।
করোনা ও লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে প্রত্যেক ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে করোনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ মাত্রায় সক্রিয় হয়।
ফার্গুসন বলেন, আমরা যদি ২৩ মার্চের এক সপ্তাহ আগে লকডাউন কার্যকর করতাম, তাহলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা অর্ধেকে দাঁড়াতো।
তবে মার্চের শুরুর দিকে করোনা সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি ও এর গতিবিধির ব্যাপারে তেমন স্পষ্ট ধারণা না থাকায় লকডাউনে যেতে ওই বিলম্ব হয় যুক্তরাজ্য সরকারের।
কেবল যুক্তরাজ্য নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই করোনা প্রতিরোধে যথাযথ লকডাউন ও অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে গড়মসি করেছে, অনেক দেশ এখনও একই কাজ করে চলেছে। এতে করে বিশ্বব্যাপীই বিভিন্ন দেশের সরকারের অবহেলায় করোনায় মৃত্যুর আধিক্য দেখা দিয়েছে। আবার অনেক দেশই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই লকদাউন শিথিল করছে, এতেও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এইচজে