শুক্রবার (১২ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি ও হার্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রফেসর শন জ্যাকসনের নেতৃত্বে রক্ত জমাট প্রতিরোধী এ ওষুধের গবেষণা চলছে।
নিজেদের গবেষণা প্রসঙ্গে জ্যাকসন বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা প্রত্যেক ৪ জন রোগীর মধ্যে গড়ে ৩ জনেরই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ও সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষমতা লোপ পেতে দেখা যায়।
‘আমাদের ওষুধটি যদি অনাকাঙ্ক্ষিত এই রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে পারে, তাহলে গুরুতর হাজার হাজার রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়া ও মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। ’
খবরে জানানো হয়, এরই মাঝে করোনার সম্ভাব্য এ ওষুধের প্রথম ধাপের ট্রায়াল সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। এ ধাপে ৭২ জন করোনা আক্রান্তের শরীরে এ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। শিগগিরই ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে গবেষক দলটি। এ ধাপে গুরুতর রোগীদের শরীরে এ ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা হবে।
জ্যাকসন বলেন, ট্রায়াল শেষে সাফল্য নিশ্চিত হলে কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা এ ওষুধ বাজারে দিতে পারবো। আশা করছি রক্ত জমাট প্রতিরোধী এ ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসকরা বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার করোনা রোগীর জীবন বাঁচাতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
এইচজে