ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এক বিবৃতি জারি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ফেরানোর জন্য সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত-চীন। এর আগেও গত ৬ জুন দু’দেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠেক হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছে, তা যদি চীন মেনে চলতো তাহলে মঙ্গলবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় যে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে, তা এড়ানো সম্ভব হতো। ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যেই তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছে। আশা করছি, চীনও তাদের দিক থেকে এ নিয়ম মেনে চলবে।
এর পরই বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। মতবিরোধ দূর করার জন্য আলোচনাও চালিয়ে যাবে। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপসের পথে হাঁটবে না ভারত।
ভারতের গণমাধ্যমে আরও বলা হয়, গত সোমবার (১৫ জুন) রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার ওপর হামলা চালায় চীনা সেনা। ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যাঘাতে পাঁচ চীনা সেনা নিহত হন।
অন্যদিকে, ওই সংঘর্ষে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্নেল ও দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়। সেনা সূত্রের খবর, পাথর, রড নিয়ে মারামারিতেই প্রাণহানি ঘটেছে।
ঘটনার পর পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়ত দুপুরে স্থল, নৌ ও বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এর পরই এদিন সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এসকে/আরবি/