স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ম্যাট হ্যানকক আরও বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের পর প্রাধান্য অনুসারে অন্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারা কারা, এ ভাইরাসের ব্যাপারে আরও বিস্তৃত পরিসরে জানার মধ্য দিয়ে ক্রমে ক্রমে তা নির্ধারণ করা হবে। ভ্যাকসিন সহজলভ্য হলে যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে তাদেরই আগে দেওয়া হবে। আমরা খুব দ্রুত আমাদের দেশকে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চাই।
দেশটিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এটি বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা কর্মীদের সবার আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কেননা তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে কাজ করছেন। এছাড়া তাদের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা অন্য রোগীরাও করোনায় সংক্রমিত হতে পারে।
মৃত্যুঝুঁকির মাত্রা অনুসারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যে করোনা মহামারির গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত তথ্য হালনাগাদ হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির ভ্যাকসিন ও রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত যৌথ কমিটি।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের। যদিও সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রকৃত করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এরচেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এইচজে