বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো জাতিগোষ্ঠী বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এর জন্য ডায়াবেটিসের মাত্রাকে দায়ী করা হয়েছে।
এ জরিপে ব্রিটেনের ২৭টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল আছে ২৬০টি। একজন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ভাগ্যে কী ঘটছে এই জরিপে সেই বিষয়টি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। মে মাসের মাঝামাঝি হাসপাতালগুলোতে ৩৫ হাজার রোগী ভর্তি হন।
এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইভেন হ্যারিসন বিবিসিকে বলেছেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দক্ষিণ এশিয়ানরা নিশ্চিত বেশি মৃত্যুর ঝুঁকিতে। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর অতটা প্রভাব নেই। ’
জরিপে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গদের থেকে দক্ষিণ এশিয়ান ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষেরা ২০ শতাংশ বেশি হারে মারা যাচ্ছেন। জরিপের ফলাফল: হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার জন শ্বেতাঙ্গ রোগীর ২৯০ জন মারা গেছেন। সেখানে ১ হাজার দক্ষিণ এশিয়ান রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৩৫০ জন।
দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলের কোভিড-১৯ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বেশি দেখা গেছে জরিপে।
শ্বেতাঙ্গ রোগীদের মধ্যে যেখানে ২৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় অর্ধেকই (৪০ শতাংশ) টাইপ ১ অথবা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
ওএইচ/