নর্থ মেসিডোনিয়ার পুলিশের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার নিয়মিত টহলের সময় ৬৪ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। তাদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় নর্থ মেসিডোনিয়ার পুলিশ। তবে আটক হওয়া অভিবাসীদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। জানানো হয় আটক অভিবাসীদের সীমান্তের কাছে গেভগেলিজা নামক একটি শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের গ্রিসে ফেরত পাঠানো হবে।
পুলিশ জানায়, তথাকথিত বলকান মাইগ্রেশন রুটটি ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, মেসিডোনিয়ার সঙ্গে গ্রিসের বর্ডার এ বছরের জানুয়ারি থেকে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও সীমান্ত এলাকার পাচারের নেটওয়ার্কগুলি চালু রয়েছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে প্রতিবেশি গ্রিসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধের মীমাংসা হওয়ার পর মেসিডোনিয়া ও গ্রিসের মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে মেসিডোনিয়ার নতুন নাম হয় ‘রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া’। নাম পরিবর্তনের ফলে নর্থ মেসিডোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে এবং নেটো জোটে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায়।
তার আগে পর্যন্ত গ্রিসের আপত্তির কারণে তারা ইইউ বা নেটোর সদস্য হতে পারছিল না। সাবেক ইয়োগোশ্লাভিয়া ভেঙে যখন মেসিডোনিয়া আলাদা রাষ্ট্র হয়, তখন থেকেই নাম নিয়ে তাদের সঙ্গে গ্রিসের তীব্র বিরোধ চলছে।
গ্রিস এ কারণে মেসিডোনিয়া নামের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল যে তাদের উত্তরাঞ্চলীয় একটি রাজ্যের নামও মেসিডোনিয়া। একই নামের কারণে সেখানে সীমানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ জুন ২৪, ২০২০
এমএইচ/এনটি