বুধবার (২৪ জুন) এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, মে মাসের ২২ তারিখে করাচি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। দুইজন বাদে প্লেনটির বাকি সব আরোহী তাতে প্রাণ হারান।
পার্লামেন্টে ওই দুর্ঘটনা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান বলেন, প্লেনটির পাইলট ও নিয়ন্ত্রক উড্ডয়নকালীন বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করেননি।
পাইলটেরা দুর্ঘটনার সময় করোনা মহামারি প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন বলে জানান গুলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আলাপ আলোচনার মধ্যে থাকায় পাইলট ও কো পাইলট প্লেনটির অবতরণকালে যথাযথভাবে মনোযোগী ছিলেন না। তাদের পুরো আলাপের বিষয়বস্তুই ছিল করোনা মহামারি।
প্লেন দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত দলে ফরাসী সরকারের প্রতিনিধিও ছিলেন। তারা বিধ্বস্ত প্লেনের নানা তথ্যউপাত্ত ও ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করে প্রাথমিক এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী বলেন, প্লেনটি উড্ডয়নের জন্য শতভাগ উপযুক্ত ছিল। এর কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে দুই মাসের দীর্ঘ লকডাউন শেষে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু করার পর দ্বিতীয় দিনেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিগত ৮ বছরের মধ্যে এটিই পাকিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্লেন দুর্ঘটনা।
প্লেনটির অনেক যাত্রীই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, দুর্ঘটনার ফলে পথেই তারা প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এইচজে