শুক্রবার (২৬ জুন) বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে হু’র আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর হান্স হেনরি ক্লুজ জানান, সম্প্রতি সুইডেন, আরমেনিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন, কসোভো, মলদোভা, উত্তর মেসিডোনিয়াসহ ইউরোপের ১১টি অঞ্চলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘খুব তাৎপর্যপূর্ণ পুনরুত্থান’ ঘটেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হান্স বলেন, করোনার এই সংক্রমণ বৃদ্ধি যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে এটি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ‘খাদের কিনারে’ নিয়ে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে হান্স বলেন, সম্প্রতি প্রতিদিনই প্রায় ২০ হাজার করে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং প্রায় ৭শ’ করে মানুষ মারা যাচ্ছে। গত ২ সপ্তাহে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে।
তবে বর্তমানে পুনরুত্থান ঘটলেও গ্রীষ্মে বেশিরভাগ দেশেই করোনা পরিস্থিতি স্তিমিত হবে বলে আশা করছে হু। কিন্তু, আসন্ন শীতে মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফ্লুর সঙ্গে সঙ্গে এটি পুনরায় বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনার কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন উদ্ভাবিত হয়নি।
খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ইউরোপে ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসবে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এইচজে