এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় সামাজিকভাবে এটিকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। এজন্য বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত প্রায় সবদেশই লকডাউনের মধ্য দিয়ে চলছে।
এক নজরে বিশ্ব অর্থনীতির ভয়াবহ ধসের চিত্র তুলে ধরা হলো:
১. করোনায় লকডাউনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র আমেরিকার রফতানি বাণিজ্যে চরম ধস নেমেছে। এতে করে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি ২০০৯ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
২. করোনার কারণে গাল্ফ উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন, কুয়েত, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতেও ব্যাপক ধস নেমেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, চলতি বছরে এই দেশগুলোর অর্থনীতি সাত দশমিক ছয় শতাংশ হারে সংকুচিত হবে।
৩. এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি গত জুনে চরমে পৌঁছেছে, যা গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন।
৪. চলতি বছর (২০২০ সাল) ইউরোপের দেশ গ্রিসের অর্থনীতি পাঁচ দশমিক আট শতাংশ হ্রাস পাবে। ব্যাংক অব গ্রিসের সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে।
৫. করোনার কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতেও ভয়াবহ ধস নেমেছে। চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটেনের অর্থনীতির যে পতন দেখা যায়, তা দেশটির ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
৬. মহামারির কারণে ভিয়েতনামের জিডিপি রেকর্ড হারে কমেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটির জিডিপি ছিল মাত্র এক দশমিক ৮১ শতাংশ, যা ২০১১ সালের পর সর্বনিম্ন।
৭. করোনার প্রকোপ থেকে সামলাতে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিও। দেশটিতে এরই মধ্যে গত ৩০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সেসঙ্গে দেশটিতে করোনাকালে বেকারত্বের হার বেড়েছে সাত দশমিক এক শতাংশ, যা গত ১৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
৮. আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সম্প্রতি বলেছেন, করোনার এই সংকটের কারণে বৈশ্বিক জিডিপি ১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
৯. আইএমএফের মতে, বৈশ্বিক এই সংকটের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি চার দশমিক নয় শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
নিউজডেস্ক