সোমবার (৬ জুলাই) ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবন্দির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রোববার (৫ জুলাই) অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে জানাতে গিয়ে কামালবন্দি বলেন, কীভাবে ওই আগুনের সূত্রপাত নিরাপত্তাজনিত কারণেই তা বিস্তারিত বলা হচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ক্ষতিসাধন হয়েছে, তবে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
‘এ ঘটনায় সেন্ট্রিফিউজ উন্নতকরণ ও উৎপাদনের হার আপাতত কিছুটা কমে যাবে, কিন্তু ইরান শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জায়গায় আরও বড় পরিসরের ভবনে উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ শুরু করবে। ’
সেন্ট্রিফিউজ মেশিন দিয়ে ইউরেনিয়াম উন্নত করা হয়। এই ইউরেনিয়াম দিয়ে জ্বালানি এমনকি পরমাণু অস্ত্রও বানানো সম্ভব।
ইরানের পরমানূ কার্যক্রম নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার ঘোরতর আপত্তি আছে। এ নিয়ে পশ্চিমান বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যাপক টানাপোড়েন আছে দেশটির।
অনেকের ধারণা সাইবার অ্যাটাকের ফলে নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এইচজে