সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই রোগও (Bubonic plague) খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই আশঙ্কা করে মঙ্গোলিয়ার মতো জায়গাগুলোতে তৃতীয় স্তরের সতর্কবার্তা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (০৪ জুলাই) বায়ানুরের একটি হাসপাতালে প্রথম বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান মেলে।
এরপরেই স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, বর্তমানে এই শহরে প্লেগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। জনসাধারণকে তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া যাদের শরীরে এই রোগের লক্ষণ দেখা যাবে, তারা বিন্দুমাত্র দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। জানা গেছে, আপাতত ২০২০ সালের একেবারে শেষপর্যন্ত এই স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি থাকবে।
গত ০১ জুলাই চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিংহুয়া জানায়, পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে (Inner Mongolia Autonomous Region) সম্প্রতি দুই সম্ভাব্য বিউবোনিক প্লেগ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তাদের টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ২৭ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১৭ বছর। তারা সম্পর্কে দুই ভাই।
চীনের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত দুই ভাই মারমোটের (Rodent, ইঁদুরজাতীয় প্রাণী) মাংস খেয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই রোগটি তাদের শরীরে ছড়ায়। যার জেরে মারমোটের মাংস না খাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত ওই দুইজনের সংস্পর্শে আসা আরও ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তাদেরও চিকিৎসা চলছে।
বিউবোনিক প্লেগ হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। যা মারমোটের মতো বুনো ইঁদুরগুলোর ফুসফুসে বাসা বাঁধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সময় মতো চিকিৎসা না করানো হলে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হতে পারে।
গত বছরও মারমোটের মাংস খেয়ে পশ্চিম মঙ্গোলিয়ান প্রদেশের এক দম্পতি বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
টিএ