সোমবার (০৬ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরোন্দ্র মোদীর আকস্মিক লাদাখ সফরের তিনদিন পর গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই দেশই তাদের সেনাদের সরিয়ে নিল।
ওই সূত্রটি বলছে, এটা (সেনা সরিয়ে নিয়ে বাফার জোন তৈরি করা) আসলে কতটা কার্যকর হবে তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
ওই সূত্রটি আরও বলছে, গালওয়ান উপত্যকার জায়গা দখল করে চীনের সেনারা যেসব অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছিল তাও সরানো হচ্ছে।
১৫ জুন সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধানে বারবার বৈঠকে বসছিলেন। সর্বশেষ বুধবার (০১ জুলাই) তারা তৃতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি চলে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়। এসময় চীনের ৪৩ জন সেনা নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও তার সত্যতা স্বীকার করেনি চীন।
সম্প্রতি বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সূত্র ধরে দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধানে দুই পক্ষই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ঘটেছিল এ সংঘর্ষের ঘটনা।
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীন ও ভারতের মধ্যে প্রাণহানি হওয়ার মতো এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। ১৯৬২ সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এইচএডি/