করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জে বন্দুকধারীরা হামলা করে ২৯ জুন। এই দিন বন্দুকধারী ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া যেন তৈরি করাই ছিল। ভারতকে দোষারোপ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। বিষয়টি অনেকটা খড়কুটো ধরে নিজের আসন রক্ষার চেষ্টার মতো বলেই মত বিশ্লেষকদের।
অবাক হওয়ার কিছু নেই যে পাকিস্তানের যেকোনো ঘটনার জন্য ভারতকে দোষারোপ করা দেশটির নেতাদের যেন পছন্দের বিষয়। আগেও এমনটাই দেখা গেছে। বর্তমানেও এমনটাই হচ্ছে। পাকিস্তানে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলেই দোষ চাপানো হয় ভারতের ঘাড়ে। বিশেষত তারা যখন অন্য কারো ওপর দোষ চাপাতে ব্যর্থ হয়।
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানি নেতারা এ ধরনের কৌশল ব্যবহার করে আসছেন। তারা এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে সমস্যা থেকে সাধারণের দৃষ্টি সরিয়ে নেন। ইমরান খানও ভিন্ন নন। আসলে ভারতের বিরুদ্ধে এ ধরনের অমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করার সময় দেশটিতে আর সব সংকটের দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
ইমরান খানের ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতি ও অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে কৌশলগুলো ‘আলাদা’ বলে জানিয়েছেন বিশ্বের অনেক সমালোচকই। যা হোক তারাই এখন ইমরান খানের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ন্যাবকে (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো) (ভুল) ব্যবহার করেও তিনি দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বর্তমানে তাকে ঘিরেই বসে রয়েছেন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা। তাদের অনেকেই তার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করছেন।
ইমরান খানের মধ্যে পূর্বসূরিদের আচরণই লক্ষ্য করেছেন তার বহু স্পষ্টবাদী সমর্থক। তাদেরই একজন হলেন এরশাদ ভাট্টি।
উর্দু ভাষার গণমাধ্যমে কয়েক দিন আগে তিনি একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ইমরান খান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। হাসান নিসার নামের এক সমালোচকও ইমারন খানকে একসময় ব্যাপক সমর্থন দিতেন; কিন্তু বর্তমানে তিনিও মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
দেশটির বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের অপসারণের দাবি জানাচ্ছে। ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ আখ্যা দিয়েও তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। তারা বর্তমান সরকারের বাজেটকে দরিদ্রবিরোধী, জনবিরোধী বলে সমালোচনা করছে। তাদের এই সমালোচনায় সমর্থন দিচ্ছে দেশটির হাজারো সাধারণ জনগণ।
সূত্র: ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এএটি