বিবিসির খবরে বলা হয়, সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ‘হোপ মিশন’ নামের এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় যুক্ত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম।
মঙ্গল গ্রহে এক সময় পানি ছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা কীভাবে বর্তমানের ধূলি-ধূসর নিষ্প্রাণ লাল গ্রহে পরিণত হলো, তা অনুসন্ধানেই এ মিশন পরিচালিত হবে।
এ অভিযানের রূপকার দেশটির অ্যাডভান্সড সায়েন্স বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সারাহ আল-আমিরি। তিনিই মিশনে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী দলের প্রধান।
বিবিসির আরবি বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারাহ বলেন, আমার বয়স যখন মাত্র নয় বছর, তখন থেকেই স্বপ্ন একদিন মহাকাশ থেকে আমি পৃথিবীকে দেখবো। কিন্তু সব সময় শুনতে হতো এটা অসম্ভব। বিশেষ করে আপনি যদি এমন একটি দেশে থাকেন, যে দেশটা একেবারেই নতুন। যখন বলতাম, আমি মহাকাশ নিয়ে কাজ করতে চাই, তখন লোকে ভাবতো আমি কোনো কল্পজগতে বাস করি।
খবরে বলা হয়, দেশটির ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে এ চ্যালেঞ্জ নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযানে অংশ নেওয়া প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। মাত্র ছয় বছরের মধ্যে তারা অত্যাধুনিক একটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে পেরেছে। স্যাটেলাইট তৈরির বেশিরভাগ কাজই করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর ‘ল্যাবরেটরি ফর অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যান্ড স্পেস ফিজিক্স’-এ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত মঙ্গলগ্রহে যে স্যাটেলাইটটি পাঠাচ্ছে সেটির ওজন ১.৩ টন। জাপানের দুর্গম তানেগাশিমা মহাকাশ বন্দর থেকে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এসকে/এইচজে