প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলে একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্ডার প্লেস করার ১২ মাসের মধ্যেই যেন সেনাবাহিনীর হাতে এসব সামরিকভাবে ব্যবহৃত অস্ত্র এসে পৌঁছে সেদিকেও নজর রাখা এবং কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাদাখ সংঘাতের মধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ পোক্ত সমরসজ্জায় সাজাতে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্ত সংঘাত যখন চরমে উঠেছে, ঠিক সেই সময় দেশটির সেনা বাহিনীকে হাত ভর্তি করে প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন মোদী সরকার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে ৩০০ কোটি রুপির অস্ত্র কিনতে পারে ভারতের সেনা বাহিনী। এ রুপির মধ্যে সেনা বাহিনী চাইলে প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভারতের সেনা বাহিনীকে এ বিষয়ে অস্ত্র কেনার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার বার্তা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমানে ভারতের বিমান বাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ২১টি মিগ ২৯ কেনা হতে পারে, যা কেনা হবে রাশিয়া থেকে। ১২টি নতুন সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমান দেশে তৈরি হবে, যা তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছে হিন্দুস্তান এওরোনটিক্স লিমিটেড।
এছাড়াও ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল ও ৫৯টি মিগ ২৯ আপগ্রেড যুদ্ধবিমান ভারতে আসতে পারে বলে খবর রয়েছে। এদিকে মিলিটারি হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত জিনিসপত্র ভারতেই তৈরি হচ্ছে। আর তা আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায় তৈরি হতে শুরু করেছে।
কোন দেশ থেকে এ হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক কেনা হবে, তা যদিও এখনও স্থির হয়নি। তবে চীন ছাড়া এ মুহূর্তে রাশিয়াই যেহেতু একমাত্র দেশ, যারা বিমানে বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এমন হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক তৈরি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নজরদারি চালানোর জন্য হেরন ড্রোনের প্রয়োজন বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। তবে এতেই শেষ নয়। ভারতীয় সেনা পাচ্ছে স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলও। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ইতোমধ্যেই হেরন ড্রোন রয়েছে। এ শক্তিশালী ড্রোন ব্যবহার করে নৌসেনাও। সেনার নজরদারিতে হেরন ড্রোন অত্যন্ত উপযোগী।
এর টার্গেট অ্যাকুইজিশন ব্যাটারি যথেষ্ট উন্নত মানের। আপাতত লাদাখ সেক্টরে হেরন ড্রোন দিয়েই নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের বিমান বাহিনী। তবে আরও ড্রোন প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হেরন ইউএভি কেনার বরাত মিলেছে। তবে ঠিক কয়টি ড্রোন কেনা হবে, তা জানানো হয়নি।
১০ কিলোমিটার উপরে ওড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন হেরন টানা দুই দিনের বেশি সময় ধরে উড়তে পারে। যেকোনও প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কাজ করার ক্ষমতা রাখে হেরন। সূত্র: কলকাতা২৪
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
আরআইএস/