ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্কে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্কে চীন সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন নিয়ে চীনের অবজ্ঞা দক্ষিণ চীন সাগরের প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে দেশটির সম্পর্ক দারুণভাবে ব্যাহত করছে।

সম্প্রতি ফিলিপাইন প্রকাশ্যে চীনকে ২০১৬ সালের সালিশি রায় মেনে চলার আহ্বান জানায়, যাতে বলা হয়েছে—দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর চীনের ঐতিহাসিক কোন অধিকার নেই।

সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশনসহ চীনকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওদোরো লকসিন জুনিয়র। জিএমএ নিউজের এক প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র সচিবকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

একইভাবে ইন্দোনেশিয়াও রিয়াও দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ঐতিহাসিক অধিকার থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বেইজিংকে হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতের ২০১৬ সালের রায়কে সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

২০১৬ নেদারল্যান্ডসের হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত রায় দেয়, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর চীনের কোন ঐতিহাসিক অধিকার নেই।

ওই রায়ে আরও বলা হয়, চীন ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে স্কারবরো শোলে। এমনকি বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে তার নাইন-ড্যাশ লাইনের ওপর যে ঐতিহাসিক অধিকার দাবি করেছিল, ট্রাইব্যুনাল সেটাকেও আইন বিরোধী বলে রায় দিয়েছে। সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস) অনুযায়ী সমুদ্রের পানিতে অর্থনৈতিক অধিকার কোন দেশ দাবি করতে পারবে তা ভৌগলিক অবস্থান দ্বারা নির্ধারণ হবে।

মালয় ইউনিভার্সিটির এশিয়া-ইউরোপ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক রাহুল মিশ্র তার এক নিবন্ধে বলেছে, পম্পেওর বক্তব্য ফিলিপাইন্সকে সমর্থন করে এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮২ সালের ইউএনসিএলওএস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।

মিশ্র আরও বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধে ফিলিপাইনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন স্পষ্ট করেছে যে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবি আগামী সময়ে আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। অবিচলিত আগ্রাসী নীতিতে চীনের কৌশলগত কোন অর্জনের সম্ভাবনা খুব কম। তবে বেইজিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি সঙ্গে তার পুরনো ‘বিভাজন ও শাসন’ নীতি অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে। কারো সাথে মধুর চুক্তিতে আবদ্ধ হবে, আর যারা চীনের বিপক্ষে দাঁড়াবে তাদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে চাইবে।

চীনের এই প্রয়াস কতটুকু সফল হবে সেটা নির্ভর করছে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বন্ধন কতটা দৃঢ় হবে তার ওপর, যোগ করেন রাহুল মিশ্র।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।