ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্কলারশিপে যুক্তরাজ্যে পড়ার সুযোগ পেলেন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
স্কলারশিপে যুক্তরাজ্যে পড়ার সুযোগ পেলেন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী স্কলারশিপে যুক্তরাজ্যে পড়ার সুযোগ পেলেন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী হাসনাইন মুস্তফা খাওয়াজা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কুইন্স মেরি ইউনিভার্সিটিতে ফেলোশিপ নিয়ে আইন বিষয়ে পড়তে যাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের এক শিক্ষার্থী।  হাসনাইন মুস্তফা খাওয়াজা নামে এ কাশ্মীরি শিক্ষার্থী মর্যাদাপূর্ণ ‘চেভেনিং স্কলারশিপ’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।

১৬০টি দেশ ও অঞ্চলের অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটিগুলোতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয় এ স্কলারশিপ।

প্রতি বছর বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপ পাওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং এর জন্য পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু অল্প কয়েকজন সৌভাগ্যবানই এ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে স্কলারশিপটি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

খাওয়াজা বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করার পর আমি আইন বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেই। তারপর কাশ্মীর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। সেখান থেকেই আমি পাঁচ বছরের স্নাতক সম্পন্ন করি। ’

‘আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এক ছাত্রী ছিলেন, যিনি তিন বছর আগে এ স্কলারশিপটি পেয়েছেন। তার কাছ থেকেই আমি এর সম্পর্কে জানতে পারি। ’

একাডেমিক যোগ্যতা ছাড়াও এতে আবেদন করার জন্য দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এটি জানার পর খাওয়াজা স্বেচ্ছাসেবীর কাজে অংশ নেন এবং একটি এনজিওতে ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দেন।

তিনি বলেন, ‘এ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যারা আবেদন করতে চান, তাদের অন্তত দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয় এবং এটি স্বেচ্ছাসেবা, ইন্টার্নশিপ, খণ্ডকালীন বা পূর্ণকালীন- যে কোনো ধরনের কাজ হতে পারে। তাই আমি এ সম্পর্কে জানার পর স্বেচ্ছাসেবার কাজে অংশ নেওয়া শুরু করি এবং একটি এনজিওতে ইন্টার্নশিপ করি। ’

ইমেইলের মাধ্যমে স্কলারশিপ প্রাপ্তির চিঠি পান খাওয়াজা। তিনি যেন তা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তাই ফোন দেন চেভেনিং কর্তৃপক্ষকে এবং চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি বিশ্বাস করিনি যে, আমি এ স্কলারশিপ পেয়েছি। তাই আমি তাদের কল করি এবং এ সম্পর্কে নিশ্চিত হই। তারপর আমি এ খবরটি আমার পরিবারের সদস্যদের দেই। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ এক শিক্ষার্থীর পক্ষে এর ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এটি আমার জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সুযোগ কেননা আমি কুইন্স মেরি ইউনিভার্সিটিতে মানবাধিকার নিয়ে পড়াশোনা শেষে আবার কাশ্মীরে ফিরে আসবো। আমি এখানে কিশোর অধিকার নিয়ে কাজ করে জনগণের সেবা দেবো। ’

এদিকে খাওয়াজার স্কলারশিপ পাওয়ার খবরে ভীষণ খুশি ও গর্বিত তার বন্ধু আসিফ আলি।

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত যে, সে এ সুযোগ পেয়েছে। এখন সে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করবে এবং একজন আইনজীবী হয়ে এখানে এসে জনগণকে সাহায্য করতে পারবে। সে মানবাধিকার নিয়ে এবং দরিদ্র মানুষ যারা আইনজীবীদের উচ্চ ফি বহন করতে সক্ষম নয়, তাদের জন্য কাজ করতে চায়। ’

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।