করোনা মহামারি ও অন্যান্য ইস্যুতে চীনের সরবরাহ করা ক্ষতিকর তথ্য/গুজবের নজরদারি করতে নতুন একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
গত ২৮ জুলাই এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
অস্ট্রেলিয়া-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী পর্যায়ের পরামর্শ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কিছু দেশ উদার গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করার জন্য করোনা মহামারিকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, করোনা নিঃসন্দেহে আমাদের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কিছু দেশ উদার গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করতে মহামারিকে ব্যবহার করছে। মহামারির স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মূল্যবোধ ও কৌশলগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বহুপাক্ষিক সংস্থার ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ক্ষতিকারক তথ্যের নজরদারি ও প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মধ্যে একটি নতুন ওয়ার্কিং গ্রুপ ঘোষণা করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট, বলেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মেরিস পেইন বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক রীতি ও আইন লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্রগুলোকে দায়বদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। হংকংয়ের স্বাধীনতায় চীনের হস্তক্ষেপের বিষয়টি উভয় দেশ অব্যাহতভাবে নজরে রাখছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র ও অব্যাহত চাপের মুখেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের পক্ষে থাকায় সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে বেইজিংয়ের রপ্তানি বাণিজ্য বা শিক্ষার্থীদের ফি ইস্যুর ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অস্ট্রেলীয় বন্ধুদের পাশে আছি।
প্রকাশ্যে চীনের নীতির সমালোচনা করায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রশংসা করেন মাইক পম্পেও। করোনা ভাইরাস ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে উভয় দেশ একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
এমজেএফ