দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) দেশটির বার্তা সংস্থা ইওনহাপের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সি-কিউন দু’টি প্রদেশকে ‘দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণার জন্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ৪২ দিনের ক্রমাগত বৃষ্টি ও ভূমিধসে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত সাত বছরের মধ্যে দেশে এটিই সবচেয়ে বড় বন্যা। এ পরিস্থিতিতে দু’টি প্রদেশকে ‘দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণার জন্য কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রগুলোতে থাকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাস্তুচ্যুতদের শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহাপ জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে রাজধানী সিউলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০টি বাড়ি ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় এক হাজার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় সড়কে রাখা গাড়িও তলিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
ওএইচ/