আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন ও ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা।
‘ডিলিং উইথ দ্য ড্রাগন: চায়না অ্যাজ এ ট্রান্স-অ্যাটল্যান্টিক চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত একটি সভায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ১১টি দেশের অর্ধ-শতাধিক বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। প্রতিবেদনটি সেই সভার মন্তব্য বলে জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ক্ষমতাসীন দল আগের চেয়ে আরও দৃঢ় হয়েছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কঠোর হচ্ছে। পাশাপাশি দলটি আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করছে।
চীনের এসব আচরণকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ভালোভাবে দেখছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ:
চীনের উদ্যোগে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইকে বলা হচ্ছে এশীয় বিশ্বায়নের কর্মসূচি। সবচেয়ে বেশি দেশ, বিপুল বিনিয়োগ এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাকে জড়িত করার এ পরিকল্পনা নিয়ে এটিই একুশ শতাব্দীর বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সুযোগের পাশাপাশি বিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিআরআই দৃশ্যত যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও করিডর প্রতিষ্ঠার প্রকল্প। সমালোচকদের মতে, এটা আসলে চীনা পুঁজিবাদের বৈশ্বিক বিস্তারের পদক্ষেপ। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতির জন্য হাজির করেছে অভূতপূর্ব সম্ভাবনাও।
বিআরআইয়ের মূল চাবিশব্দ হলো কানেকটিভিটি। এর উদ্দেশ্য এশিয়াকে বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রীয় ইঞ্জিন করে তোলা। এ পরিকল্পনায় থাকছে সমুদ্রপথে একগুচ্ছ আন্তর্জাতিক বন্দর, ভূমিতে আন্ত-সীমান্ত সড়ক, উচ্চগতির রেলপথ, বিমানবন্দর এবং ডিজিটাল যুক্ততার অবকাঠামো নির্মাণ।
চীনের এই উদ্যোগকে আমেরিকা ও ইউরোপ ভালো চোখে দেখছে না। আমেরিকার বড় চিন্তা হচ্ছে এর জিওগ্রাফিক অবস্থান নিয়ে। আর ইউরোপের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা সেটি নিয়ে। অন্যদিকে ভারতও মনে করছে চীনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশটি সার্বভৌমত্বের হুমকিতে পড়বে।
সূত্র: দি ইকোনোমিক টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এমজেএফ