উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে যে কোনো কথোপকথন আমাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল বা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দিকে নিয়ে যায়।
তবে এ চিত্র শিগগিরই বদলে যেতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে এ অঞ্চলগুলোর আধিপত্য কমে যেতে পারে।
উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসছে না। সাম্প্রতিক তথ্য থেকে বোঝা যায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোর সমান অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকা।
আফ্রিকান দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান রয়েছে। ইসলামী দেশগুলোর সংগঠন (ওআইসি) এর ৫৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ২৮টিই আফ্রিকার দেশ। এ কারণে এবং তাদের শক্ত ঘাঁটি থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল কায়দার (একিউ) মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উত্থান কেন্দ্র করে আফ্রিকান দেশগুলো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এছাড়া, একাধিক আঞ্চলিক ও স্থানীয় সন্ত্রাসী সংগঠন মহাদেশটিতে তাদের কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে।
জিটিআই ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যু বিশ্বজুড়ে কমলেও আফগানিস্তান এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, মালি এবং সুদান সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল। ২০টি সর্বাধিক সহিংস সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে এমন দেশের তালিকায় রয়েছে নাইজেরিয়া, মধ্য আফ্রিকার প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং সিরিয়া। সন্ত্রাসবাদে সর্বাধিক প্রভাবিত ৪০টি দেশের তালিকায় রয়েছে সোমালিয়া এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৯ সালে বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজার এ তিনটি দেশেই উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসী দলগুলোর সদস্যরা চার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ২০১৬ সালের পর এ তিনটি দেশে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু পাঁচ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্র এবং মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ ইসলামী মৌলবাদী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এফএম