ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হলে নেপালের জানকপুরে সীতার জন্মস্থানেও পর্যটক বাড়াবে। শিগগিরই এ স্থানটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, নেপালে সীতার জন্মস্থান জানকপুর শিগগিরই রামায়ণ সার্কিটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।
এর আগে ভারত সরকার ঘোষণা করে স্বদেশ দর্শন স্কিমের আওতায় রামায়ণ ও কৃষ্ণ বিষয়ে ১৫টি থিমেটিক সার্কিট উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম ও সীতার জন্মস্থানে চলাচলের জন্য শাটল ট্রেন চালু করার পরই জানকপুর একরকম রামায়ণ সার্কিটের অংশ হয়ে ওঠে।
রাম ও সীতা হিন্দু ধর্মে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে বিবেচিত।
জানকপুরের একজন সমাজকর্মী সুশীল কর্ন বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, জানকপুর এরইমধ্যে রামায়ণ সার্কিটের অংশ হয়ে গেছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হলে নেপালে সীতার এই জন্মস্থানেও পর্যটক বাড়বে। কারণ যারা অযোধ্যায় রামের জন্মভূমিতে যাবেন, তারা সীতার জন্মস্থাটাও ভ্রমণ করতে চাইবেন।
তিনি আরও বলেন, অযোধ্যায় দেবতা রামের জন্মভূমিতে মন্দির তৈরি হওয়া বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আর মাতা সীতা, যিনি রামের ভক্তি ও গুণের প্রতিচ্ছবি।
জানকি মন্দিরের একজন পুরোহিত ঋষিকেশ কুমার বলেন, রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ায় আমাদের মা জানকি অযোধ্যায় একটি বাড়ি পেতে যাচ্ছেন। ভারত সরকারের এই উদ্যোগের জন্য আমরা খুবই খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
নিউজ ডেস্ক