বেইজিংয়ের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ও মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইয়ের পর এবার হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি দুই আইন প্রণেতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গণতন্ত্রপন্থিদের দমাতে কর্তৃপক্ষ মূলত এমন পদক্ষেপ নিল। খবর বিবিসির।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এ দুই আইন প্রণেতা হলেন- লাম চেউক-থিং ও হুই চি-ফাং। বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে উভয়কেই তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বেইজিংয়ের সমালোচক ও মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। দুই সপ্তাহ পর এবার বুধবার (২৬ আগস্ট) গ্রেফতার করা হলো গণতন্ত্রপন্থি দুই আইন প্রণেতাকে।
২০১৯ সালে ইউয়েন লং শহরে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর মুখোশধারীরা হামলা চালায়। এতে কয়েক ডজন আহতদের মধ্যে একজন ছিলেন আইন প্রণেতা লাম চেউক-থিং। তার বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগ। লামের বিরুদ্ধে সম্পদের ক্ষতির ষড়যন্ত্র করা এবং বিচারে বিঘ্ন ঘটানোর মতো অভিযোগও এনেছে পুলিশ।
অপর আইন প্রণেতা হুইয়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
পুলিশের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বুধবার পুলিশ দুই আইন প্রণেতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে।
এ দুই আইন প্রণেতার গ্রেফতারের কথা তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে লামের গ্রেফতারের সমালোচনা করে টুইটারে সরব গণতন্ত্রপন্থিরা।
একজন লিখেছেন, আমরা জানি, সেদিন আপনি ট্রেনে নাগরিকদের রক্ষা করেছিলেন।
২১ জুলাই গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর ইউয়েন লাং শহরের ট্রেন স্টেশনে মুখোশধারীরা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করার কারণে পুলিশের বেশ সমালোচনা হয়েছিল সেসময়। পরে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেফতার করে। যার মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগ আনে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
এইচএডি/