চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতিমালা মোকাবিলার জন্য ভারতের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ‘মানবতাবাদী চীন’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং সেই তিয়ানানমেন বিক্ষোভের ছাত্রনেতা ঝো ফেংসুও।
একইসঙ্গে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও চীন মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার আহ্বান করেছেন।
সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আজ ভারতের মহান গণতন্ত্র চীনের সর্বগ্রাসী শাসনের মুখোমুখি। কিন্তু আমি ভারতের পক্ষে একটি বড় ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চীনকে’ মোকাবিলা করতে ভারত কী করতে পারে? আমি প্রচুর বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন।
ঝো ফেংসুও বলেন, প্রথমেই আসি তাইওয়ানের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে। এটি একটি উদার ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র। তাইওয়ানে আমার সর্বশেষ পাঁচ ভ্রমণে এটি কত দুর্দান্ত হয়েছে, তা দেখে আশ্চর্য হয়েছি। অঞ্চলটির কোনো মিল নেই। কারণ তারা চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টিকে (সিসিপি) ভালো করেই চিনে।
তিনি বলেন, এ কারণেই তাইওয়ান কোভিড -১৯ এর সময় সতর্ক ছিল এবং এটি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের স্বীকৃতি দরকার। আমি আশা করি ভারত তাইওয়ানের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এর আগে আবার আমাদের অনেক বিনিময় হতে পারে।
‘এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হংকং সংকট। জাতীয় নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে চিন্তা করুন। বিশ্ব ইতিহাসে কখনও আমরা এমন আইন দেখিনি, যা দেশের বাইরের লোকদের বিচার করতে পারে। তাই আমি আশা করি ভারত এর অনেককিছুই করতে পারে। ’
‘এছাড়া তৃতীয় ইস্যুটি হলো চীনের ফায়ারওয়াল। আমি আশা করি এ বিষয়েও ভারত অনেককিছু করতে পারে। কারণ টেক পাওয়ারে ভারত খুবই শক্তিশালী। আমাদের একসঙ্গে ফায়ারওয়াল প্রযুক্তি নিয়ে লড়াই করতে হবে। ’
তিনি এও বলেন, সবমিলে চীনের বিরুদ্ধে ভারত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত হবে ভারতকে অনুসরণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
টিএ