লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) চীনের ‘সীমালঙ্ঘনের চেষ্টায়’ ভারতের তেজস্বী এবং কৌশলী জবাবের কারণে নিজের তৈরি ‘চোরাবালিতে’ আটকে গেছে বেইজিং। এ থেকে বেইজিং সহজে বের হতেও পারছে না, আবার দীর্ঘ সময় এখানে আটকেও থাকতে পারছে না।
ইউরোপ ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইএফএসএএস) এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করে।
ইএফএসএএস বলে, শুধু দক্ষিণাঞ্চলের প্যাংগং সো নয়, উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে ভারত, যা বেইজিংকে বিপাকে ফেলেছে।
গত কয়েক দিন ধরে প্যাংগং সো এলাকায় কিছু ঘটনা ঘটায় এবং দৃশ্যমান ভাবেই বিশ্বাসে চির ধরার পরও দু’টি দেশের (ভারত ও চীন) বিবৃতি থেকে মনে হয়ে, তারা যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে এ সংঘাতে ভারতে কৌশলগত ভাবে ভিন্ন উচ্চতায় রয়েছে, যা চীনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এপ্রিল মাস থেকেই এলএসির ভারতীয় অংশে গুপ্ত আক্রমণ চালিয়ে আসছে চীন। তবে ভারতের কাছ থেকে এমন জবাব প্রত্যাশা করেনি দেশটি। ভারতীয় সেনাদের তেজস্বী এবং কৌশলী জবাবের কারণে নিজের তৈরি চোরাবালিতে আটকে গেছে চীন। এ থেকে দেশটি সহজে বের হতেও পারছে না, আবার দীর্ঘ সময় এখানে আটকেও থাকতে পারছে না।
২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাদাখের প্যাংগং লেকে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে ভারত ও চীনের সম্পর্ক এখনো উত্তেজনাপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে দেশ দু’টির বিভিন্ন বিবৃতি থেকেই তা বোঝা যায়।
দু’টি দেশই সমঝোতার মাধ্যমে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার কথা বললেও ১৫ জুনের গলওয়ান সংঘর্ষ থেকে বোঝা যায় যে, সমঝোতা এত সহজেই হতে যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
এফএম