নির্বাসনে থাকা একজন উইগুর চিকিৎসক প্রকাশ করে দিয়েছেন কীভাবে তিনি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর নারীদের অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হতেন। ওই সব জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে চীন এ অমানবিক উপায় অবলম্বন করে।
জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ উইগুরের বসবাস। গবেষকদের ধারণা, সেখানে অন্তত ১০ লাখ উইগুরকে বন্দিশিবিরে আটক করে রাখা হয়েছে।
জিনজিয়াং থেকে পাওয়া তথ্য বলে, উইগুরদের কড়া নজরদারি এবং বিধিনিষেধের মধ্যে রেখেছে চীন সরকার। বন্দিশিবিরে যারা আটক রয়েছেন, তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
আইটিভি নামে ব্রিটিশ একটি নিউজ চ্যানেলে ওই নারী চিকিৎসক জানান, তিনি উইগুর নারীদের ওপর প্রায় ৫শ’ থেকে ৬শ’ অস্ত্রোপচার করেছেন। এর মধ্যে জোরপূর্বক গর্ভপাত, বন্ধ্যা করে দেওয়া, জরায়ু অপসারণ করা— এ ধরনের অস্ত্রোপচার রয়েছে।
ওই চিকিৎসক আরও চাঞ্চল্যকর তথ্যও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একবার গর্ভপাত করে শিশুটি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেওয়ার পর দেখা গেছে সেটি তখনো নড়াচড়া করছিল। ’
বর্তমানে ওই চিকিৎসক ইস্তাম্বুলে রয়েছেন। তুরস্কে প্রায় ৫০ হাজার উইগুর থাকেন, যারা বিভিন্ন সময় চীন থেকে পালিয়ে গেছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়াব্লুমস
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
এফএম