জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধ শাস্ত্রীয় সংগীতকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে পদক্ষেপ নিয়েছেন উপত্যকার বিভিন্ন ঘরানার গায়ক ও সুরকাররা। তারা একসঙ্গে ‘কাররার’ নামের একটি বিশেষ অ্যালবাম প্রকাশ করবেন।
স্টুডিওকে সংগীত শিল্পীদের দ্বিতীয় ঘর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এখানেই তারা রিহার্সেল, রেকর্ড, ডাবিং এবং অডিও মিক্সিং এর মতো কাজগুলো করেন। মহামারির কারণে বহুদিন ধরে গান রেকর্ডসহ সবরকমের বাদ্যযন্ত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে এ নিয়ে হতাশা কাজ করছিল উপত্যকার সংগীত অনুরাগীদের মধ্যে। এরমধ্যে নামকরা সুরকার ওয়াহিদ জিলানি এবং গায়কদের একটি দল এগিয়ে এসেছেন স্টুডিও খোলার জন্য। তাদের চিন্তাটাও ভিন্ন। তারা উদ্যোগী হয়েছেন সমৃদ্ধ কাশ্মীরী সংগীত সংরক্ষণ করতে।
সুফিয়ানা, শাস্ত্রীয় এবং লোক সংগীত বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধ সংগীত ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে প্রতিফলিত করে।
এদিকে উপত্যকার সব গায়কদের ‘ওয়াতান’ নামের একটি গানে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এসব সংগীত অনুরাগীরা। একইসঙ্গে প্রকাশ করা হবে ‘কাররার’ নামের বিশেষ একটি অ্যালবাম।
নামকরা গায়ক ওয়াহিদ জিলানি বলেন, আমাদের কাশ্মীরি শিল্পীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগটি শুরু করা। দীর্ঘদিন পর আমরা স্টুডিওতে গান রেকর্ড চালু করতে পেরেছি। একইসঙ্গে আমরা করোনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় গাইডলাইন মাথায় রাখছি।
মোহাম্মদ ইয়াকুব। একজন সুফি গায়ক। তিনি জিলানির নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ওয়াহিদ সাহেবের উদ্যোগে সুফি, লোক সংগীত একত্রিত হয়েছে এবং একটি গান রচনা করা হয়েছে যা খুব ভালো মানের। আমি তাকে সমর্থন করি। যারা এ উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছেন তারা প্রত্যেকে মনে প্রাণে কাজ করছেন।
জামিলা খান একজন গায়িকা। নানা ঘরানার শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করছেন এটা বেশ সুখের, জানালেন তিনি।
জামিলা বলেন, স্টুডিওতে গান রেকর্ড শুরু হয়েছে, এজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্রথম উপত্যকার বিভিন্ন ঘরানার শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমি কাজে ফিরতে পেরেছি এবং ভালো কিছু করতে পারছি এজন্য অত্যন্ত আনন্দিত।
সূত্র: ইয়াহু নিউজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
এইচএডি/