ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারের বিশেষজ্ঞরা নদীর ডলফিনের সংরক্ষণ জোরদার করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করতে একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
‘নদীর বাস্তুতন্ত্র এবং ডলফিনের সংখ্যার ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব: বর্তমান অবস্থা এবং ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার-নেপালে তা সংরক্ষণের ভবিষ্যৎ কৌশল’ শীর্ষক ওয়েবিনার আয়োজিত হয়েছে।
ওয়েবিনারে আইসিএআরের মৎস্যবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. জেকে জেনা বলেন, ‘এই প্রাণীগুলো সীমানা বোঝে না এবং যেখানে সম্ভব সেখানে বাসস্থান খোঁজার চেষ্টা করে। তাই তাদের সংরক্ষণে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
নমমি গঙ্গার মহাপরিচালক রাজিব রঞ্জন মিশরা ডলফিন সংরক্ষণে গঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। ডলফিন সংরক্ষণে সংগঠনটির লাগাতার প্রচেষ্টার কারণে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘প্রজেক্ট ডলফিন’ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগের ‘প্রজেক্ট টাইগার’ এর সঙ্গে মিল রয়েছে এটির, যা আগে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে সফল হয়েছে। জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত উন্নয়নের পাশাপাশি দূষণ রোধের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় নদীর ডলফিনের দেখা মেলে, যেগুলোর সংখ্যা এখন কমতে শুরু করেছে। নদীর ডলফিন সংরক্ষণে ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করতেই এ ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে এক হাজারেরও বেশি জন অংশ নিয়েছেন।
সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এফএম