পাকিস্তান গিলগিত-বালতিস্তানকে পূর্ণাঙ্গ প্রদেশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির একটি শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যম এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে চীনের সমর্থন রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান বিষয়ক মন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শিগগিরই অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন এবং গিলগিত-বালতিস্তানকে একটি পূর্ণ-মর্যাদার প্রদেশে উন্নীত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। সাংবিধানিক অধিকারযুক্ত প্রদেশে রূপান্তরিত হবে গিলগিত-বালতিস্তান। এর ফলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলটি পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশে পরিণত হবে এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাবে।
গিলগিত-বালতিস্তানকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চীন বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে। বিতর্কিত এই অঞ্চলটিতে, যা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই দাবি করে আসছে সেখানেই চীনের ৬০ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিসি), যা আরব সাগরের গদ্বার বন্দরের সাথে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগড়কে যুক্ত করছে।
পাকিস্তানকে ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, গিলগিত-বালতিস্তানসহ জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের সমগ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইনত ও সম্পূর্ণরূপে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
অঞ্চলগুলিতে পাকিস্তান সরকার বা তার বিচার বিভাগের অবৈধভাবে এবং জোর করে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই। ভারত এ জাতীয় পদক্ষেপ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখণ্ডের পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলে পাকিস্তানের সব ধরনের হস্তক্ষেপ প্রতিহত করবে। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে অবিলম্বে অবৈধভাবে দখলকৃত সমস্ত অঞ্চল খালি করার কথা গত মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এমজেএফ