‘গতিবিধি সন্দেহজনক’ হওয়ার পাশাপাশি অবৈধভাবে নেপালে বসবাস করা ৪১ চীনা নাগরিককে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এসব চীনা নাগরিকদের নিজ খরচেই দেশে ফিরতে হবে।
দেশ ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পর ওই ৪১ জনের অনেকে ইতোমধ্যে নেপাল ছেড়েছেন। খবর দ্য হিমালয়ান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, অবৈধভাবে নেপালে বসবাস করে আসা ৪১ চীনা নাগরিককে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যাদের দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে তাদের ‘গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক’।
নেপালের ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন (ডিওআই)-এর তথ্যমতে, ওই ৪১ জনের মধ্যে ২২ জনকে ৯ জুলাই এবং বাকি ১৯ জনকে ৪ সেপ্টেম্বর নেপাল ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রত্যেককে ৪০ থেকে ৫০ হাজার নেপালি রুপি জরিমানার পাশাপাশি এক থেকে তিন বছরের মধ্যে নেপালে ঢোকার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চীনা পর্যটকরা একনাগাড়ে ১৫০ দিন পর্যন্ত নেপালে অবস্থান করতে পারেন। অনেকেই এই সুবিধার অপব্যবহার করে দেশটিতে অবস্থান করে এবং অবৈধভাবে কাজে যোগ দেয়। সম্প্রতি দেশটিতে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। চীনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা এরই ধারাবাহিকতা।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ১২২ চীনা নাগরিককে গ্রেফতারের পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ছিল সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ। গ্রেফতার সেসব চীনা নাগরিকদের অর্ধেকের পাসপোর্ট পর্যন্ত ছিল না। আর ৪১ জনের শেষ হয়ে গিয়েছিল ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ।
সেই থেকেই প্রায় প্রত্যেক দিন চীনা পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, জানালেন ডিওআইর ডিজি রমেশ কুমার কেসি।
তিনি আরও বলেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে নেপালে বসবাস করছিল। তাদের ‘গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক’। তারা রেস্তোরাঁয় কাজ করতো। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তারা অবৈধভাবে নেপালে বসবাস করে আসছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এইচএডি/