অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এর ‘ধূসর তালিকা’য় পাকিস্তানের নাম রয়েছে। কিন্তু ওই তালিকা থেকে নিজের নাম মোছার কঠিন কাজটি না করে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ভারতীয় রাজনৈতিক দল ও সংস্থাকে ভিত্তিহীন দোষারোপ করতে ব্যস্ত পাকিস্তান।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলু জানায়, পাকিস্তানি সংসদের কাশ্মীর কমিটির চেয়ার শাহরিয়ার আফ্রিদি ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের’ অভিযোগ তোলেন।
এদিকে পাকিস্তান যখন ভারতকে ভিত্তিহীন দোষারোপ করতে ব্যস্ত, তখন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস ২৯ জন পাকিস্তানির একটি তালিকা দিয়েছে, যারা আইএসআইএসের পক্ষে লড়াই করার সময় তাদের হাতে আটক হয়েছেন।
ওই তালিকা অনুযায়ী, তাদের মধ্যে অন্তত নয়জন পাকিস্তানি নারী আইএসআইএস ক্যাডার রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে তিনজনের তুরস্ক বা সুদানের নাগরিকত্বও রয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী অক্টোবরে এফএটিএফের সভায় পাকিস্তানকে যেন ধূসর থেকে কালো তালিকভুক্ত করা না হয়, সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি দেশটি দায়েশ, আল-কায়েদা, তালেবানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংস্থা ও দলের সঙ্গে জড়িত ৮৮ জনেরও বেশি সন্ত্রাসীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৫ সালেও দেশটি ধূসর তালিকায় ছিল। ২০১৮ সালের জুন থেকে আবারও ধূসর তালিকাভুক্ত হয় পাকিস্তান। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ২০২০ সালের জুনে দেশটি কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে এ সময় বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে এফএটিএফ।
সন্ত্রাসবাদ দমনে নিজের প্রচেষ্টা দেখিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান কিন্তু আফগানিস্তানেই এখনো বহু পাকিস্তানি সন্ত্রাসী রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আফগানিস্তানের জালালাবাদ কারাগারে হামলার পর যেসব বন্দি পালিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই আফিগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসী।
সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
এফএম