সম্প্রতি ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কথা উঠলেও আদতে তা কতটুকু, না-কি আগের অবস্থানেই, তা ভাববার বিষয়! কারণ এ দুই দেশের মধ্যে ‘অন্যান্য বাণিজ্যের পাশাপাশি’ এখনও প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমাদানি-রপ্তানি হচ্ছে নিয়মতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই বলছে, ১৯৭১ সালে ভারত ও নেপালের মধ্যে ‘পাওয়ার এক্সচেঞ্জ চুক্তি’ হয়েছিল।
এছাড়া সম্প্রতিও ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ বাণিজ্যচুক্তি সই করেছে নেপাল। এ অনুসারে নেপাল ভারতের এনভিভিএন (এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগম) থেকে ২২০ কেভিএ ধলকেবর-মুজারফপুর ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, এর বাইরেও ভারত-নেপাল বিভিন্ন ট্রান্সমিশন লাইন থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করছে। যার পরিসীমা অন্তত এক ডজনেরও বেশি হতে পারে।
নেপাল মূলত বর্ষা মৌসুমে নিজেদের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করে। যখন তাদের উৎপাদন বাড়ে এবং রাতের বেলা বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়। এবং নেপালের এই উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে রাপ্তানি হচ্ছে।
নেপাল বিদ্যুৎ রপ্তানি করলে তাদের মুদ্রায় ছয় দশমিক ১৮ রুপি দর দিচ্ছে ভারত। আবার একই দরে ভারতও নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে বলা জানা গেছে।
নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের (এনইএ) রেকর্ড অনুসারে, নেপাল ও ভারতের মধ্যে মোট ২৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিনিময় হচ্ছে। এর জন্য আবার ট্রান্সমিশন সহজ করার ব্যবস্থাও নিচ্ছে দুই দেশ।
এনইএ’র মুখপাত্র প্রবাল অধিকারী বলেছেন, নেপাল বিগত অর্থবছরে ভারতে মোট ১০ কোটি ৭০ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে।
‘এছাড়া যদি উচ্চতর তামাকোশি (জলবিদ্যুৎ প্রকল্প) বাস্তবায়ন হয়, তাহলে নেপাল আগামী বছর থেকে বিদ্যুতের বড় একটি অংশ ভারতে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
টিএ