২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বছর এবং ২০১৭ সালে, যখন হোয়াইট হাউসে তার প্রথম বছর; এই দুই বছরে মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর তিনি ফেডারেল সরকারকে কোনো আয়করই দেননি।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার একাধিক কোম্পানির কর সংক্রান্ত নথিপত্র তাদের হাতে এসেছে। তারা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের কর নথি জোগার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসে বলা হয়েছে, নথিপত্রে দেখানো হয়েছে, ট্রাম্পের কোম্পানির অব্যাহত লোকসান হচ্ছে। এবং বছর বছর কর ফাঁকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তার ‘স্বভাবসিদ্ধ ভাষায়’ এ প্রতিবেদনকেও ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমি ট্যাক্স দিয়েছি। খোঁজ নিলে আপনি দেখবেন, আমি যখনই ট্যাক্স রিটার্ন দিয়েছি তখনই দীর্ঘ নিরীক্ষার কবলে পড়েছে। তারা আমার রিটার্ন দীর্ঘদিন ধরে নিরীক্ষা করে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) তার সঙ্গে কখনই ভালো ব্যবহার করেনি...! তারা বরাবরই তার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছে।
সম্পদ ও ব্যবসা বাণিজ্যের তথ্য প্রকাশ না করার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার কর বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি। অবশ্য আইনে এর বাধ্যবাধকতাও নেই।
এবার তার কর ফাঁকি সম্পর্কিত নথি এমন একটা সময় ফাঁস হয়েছে, যখন কয়েকদিন পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে যাবেন। এছাড়া কিছুদিনের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
টিএ