থাইল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে তিন মাস ব্যাপী চলা বিক্ষোভ দমনে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।
রাজতন্ত্রে সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করে পাঁচ বা এর বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হতে পারে এমন সংবাদ বা অনলাইন বার্তা প্রকাশে নিষেধ করা হয়েছে।
জরুরি অবস্থা জারি করায়, পুলিশ কোনো অভিযোগ ছাড়াই যে কাউকে ৩০ দিন পর্যন্ত আটক করে রাখতে পারবে।
বেশ কয়েক মাস ধরে থাইল্যান্ডে অস্থিরতা বিরাজ করছে। থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরা কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড। বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ক্যাম্প করে বিক্ষোভ করেন। সরকারের দাবি, থাই রাজার গাড়িবহর চলাচলেও বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মধ্য দিয়ে থাই রাজার হলুদ একটি গাড়ি যাওয়ার সময় সেটিকে সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা তিন আঙুল দিয়ে একটি স্যালুট দিচ্ছিলেন, যা থাইল্যান্ডে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এসময় তারা চিৎকার করে নিজেদের দাবিগুলো জানান।
চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এফএম