সিন্ধু প্রদেশের আঞ্চলিক সরকারের অধীনে থাকা দু’টি দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। যা চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
করাচির দক্ষিণে অবস্থিত বুন্দাল এবং ভুড্ডো দ্বীপ দু’টি হস্তান্তর ও নগর পরিকল্পনার জন্য পাকিস্তানের দ্বীপপুঞ্জ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিআইডিএ) অধ্যাদেশে সই করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট য়ারিফ আলভি।
সিন্ধু প্রদেশের উপকূলে আট কিলোমিটার দূরত্বে দ্বীপ দু’টি অবস্থিত।
সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, দ্বীপপুঞ্জ উন্নত করার জন্য পিআইডিএ তৈরি করা হয়েছে। তবে সিন্ধুর গভর্নর ইমরান ইসমাইলের দাবি, দুবাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বুন্দাল এবং ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ আনতে পারে।
অক্টোবরের শুরুতে এ অধ্যাদেশটি জনসাধারণের নজর কাড়ে। সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের রাজনীতিতে শুরু হয় তোলপাড়। সিন্ধুতে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ‘এ অধ্যাদেশকে বেআইনি এবং জবরদখল। ’
এক টুইটে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সঙ্গে এর তুলনা করেন তিনি।
সিন্ধুর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকরা এ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন কারণ তারা মনে করেন চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) এর অংশ হিসেবে দ্বীপ দু’টি চীনের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এফএম