টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আজকের রাতটি। রাত পোহালেই শুরু হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবশেষ ধাপের আনুষ্ঠানিকতা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন উভয়ের শিবির থেকেই কারচুপির আশঙ্কা করা হয়েছে। ২০১৭ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার হার ০.০০০০৪ থেকে ০.০০০৯ শতাংশ।
বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, এবার দেশটিতে পূর্ববর্তী যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় ডাকযোগে বেশি ভোট পড়েছে। ডাকযোগে আসা এসব ভোট গণনার ক্ষেত্রেই কারচুপি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পোস্টাল ভোট অর্থাৎ ডাকযোগে আসা ভোট জমা পড়েছে।
কারচুপির আশঙ্কার পাশাপাশি পোস্টাল ভোটের কারণে এবারের নির্বাচনে ফল ঘোষণার সময়ের ব্যবধানও বেশি হতে পারে। এর ফলে শেষ মুহূর্তে আসা কয়েকটি কেন্দ্রের ফল পুরো ফলাফলকেই ঘুরিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি একেক রাজ্যে ডাকযোগে আসা ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনার নিয়ম একেক রকম হওয়ার কারণেও নির্বাচনের ফল নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে গণমাধ্যমগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
জর্জিয়া এবং কিছু রাজ্যে কেবল ৩ নভেম্বর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আসা পোস্টাল ভোট গণনা করা হবে। আবার ওহাইও’র মতো কিছু রাজ্যে ৩ নভেম্বরের পরে আসা ভোটও গণনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে যদি খামের উপরে কমপক্ষে ৩ নভেম্বরের পোস্টাল সিল থাকে। এর ফলে কিছু কিছু রাজ্যের সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
এদিকে পোস্টাল ভোট এবং সরাসরি দেওয়া ভোটের গণনার ক্রম নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন আইন আছে দেশটির রাজ্যগুলোতে। যেসব রাজ্যে পোস্টাল ভোটের আগে কেন্দ্রে এসে নাগরিকদের দেওয়া ভোট আগে গণনা করা হবে সেসব রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এক জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্প সমর্থকরা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে আগ্রহী। আর যেসব রাজ্যে আগে পোস্টাল ভোট গণনা করা হবে সেগুলোতে জো বাইডেন এগিয়ে থাকতে পারেন। জো বাইডেনের বেশির ভাগ সমর্থক পোস্টাল ভোট দিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ