ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই ধরনের ধরনের ভোট হয়ে থাকে। একটা হলো পপুলার ভোট আরেকটা ইলেকটোরাল।
ফলাফল নির্ধারণে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটই মূল ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নাগরিকেরা সরাসরি যে ভোট দিয়ে থাকেন তাকেই পপুলার ভোট বলে। সে হিসেবে কোনো প্রার্থী একটি অঙ্গরাজ্যে সর্বাধিক ভোট পেলেই তাকে সেখানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের (ভারসাম্যনীতি) একটি অসাধারণ কৌশল রয়েছে। প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্যে রয়েছে জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
আর এ ইলেকটোরাল ভোটই মূলত নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৮টির জন্য নিয়ম হলো- যিনি পপুলার ভোটে জিতবেন তিনিই সে অঙ্গরাজ্যের সবক’টি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন, সেখানে পপুলার ভোটের ব্যবধান যতো কমই হোক না কেন।
সুতরাং জাতীয় পর্যায়ে পপুলার ভোট বেশি পেলেও জয়-পরাজয় হিসাব করা হয় ইলেকটোরাল ভোটের ভিত্তিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবক’টি অঙ্গরাজ্য মিলিয়ে মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮টি। আর হোয়াইট হাউসে অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে কোনো প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১২
নিউজ ডেস্ক