মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় এবারের নির্বাচনের প্রার্থী কারা, বেশিরভাই বলবেন – ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের নাম। কিন্তু মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন অন্তত আরও দুই জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই রাজনৈতিক পাড়ায় আধিক্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট পার্টির। যদিও দেশটিতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল আছে এবং সেসব দলের প্রার্থীরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অংশ নেন। তবে প্রধান দুই দলের আধিপত্য এবং সমর্থক এতটাই বেশি যে অন্য প্রার্থীরা আলোচনায় থাকে না বললেই চলে।
সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে এবারও। উদারপন্থী লিবারেল লিবারেটারিয়ান দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ৬৩ বছর বয়সী জো জার্গেনসন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্যও দলীয় মনোনয়নে লড়েছিলেন জার্গেনসন।
অন্যদিকে গ্রিন পার্টির ৬৭ বছর বয়সী হাওই হকিন্স পরিবেশবাদী হিসেবে অধিক পরিচিত। ‘গ্রিন নিউজ ডিল’ স্লোগানে ২০১০ সাল থেকেই কাজ করে আসছেন তিনি। এবারই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে নামলেও নিউইয়র্কের গভর্নর পদের জন্য লড়েছেন একটানা তিন বার – ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে। গভর্নর হতে না পারলেও পরের বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন হকিন্স।
জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার দ্বৈরথে ইতোমধ্যে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত হয়েছেন এই দুই প্রার্থীর। এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ভোটের হিসাব অনুযায়ী, জো জার্গেনসেন পেয়েছেন মোট ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭০ পপুলার ভোট; যা মোট ভোটের মাত্র ১.১ শতাংশ।
অন্যদিকে মাত্র তিন লাখ ২৮ হাজার ২২১ পপুলার ভোট পেয়েছেন হকিন্স যার অনুপাত এক শতাংশেরও নিচে; শূন্য দশমিক দুই শতাংশ।
এছাড়াও আরও কয়েকজন প্রার্থী এবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তবে তারা একেবারেই আলোচনার বাইরে। তারা সবাই মিলে এখন পর্যন্ত পেয়েছেন শূন্য দশমিক তিন শতাংশ ভোট; মোট সংখ্যায় তিন লাখ ৬২ হাজার ৮৫৬ ভোট।
এখানে বলে রাখা ভালো, এই প্রার্থীদের কেউই কোনো ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অর্জন করতে পারেননি।
ইতোমধ্যে নিজের পরাজয় শিকার করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন জো জার্গেনসন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সমর্থকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জার্গেনসন বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন আগামী চার বছর হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকবেন। তবে আপনাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা না পেলে আমি এতটা দূর আসতে পারতাম না। আমি আশা করি যদি ফলাফলটা ভিন্ন রকম হতো। তবে এর মধ্যে দিয়ে আমাদের লিবারেলদের কাজ শেষ হলো না বরং আরও শুরু হলো। মিলিয়ন সংখ্যক আমেরিকানের কাছে আমরা আমাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছাতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ