রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে মিয়ানমারে শুরু হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব। নব্বই এর দশকে শুরু হওয়া সামরিক শাসনের পর এটিই দেশটির দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচন।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সালের মতো এবারও অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। তবে বিদেশি নাগরিকের সাথে বিয়ে হওয়া এবং মিয়ানমার ব্যতীত ভিন্নদেশের নাগরিকত্ব থাকা সন্তানের অভিভাবক হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না সুচি।
২০১৫ সালেও নির্বাচনে বিজয়ী সুচি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। দেশটির অবিসংবাদিত এই নেত্রী হয়েছেন ‘স্টেট কাউন্সিলর’।
নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে দুই কক্ষবিশিষ্ট দেশটির সংসদের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কমপক্ষে ২২১টি আসন এবং হাউজ অব ন্যাশনালিটিস এ কমপক্ষে ১১৩টি আসন জয় করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে অথবা একাধিক রাজনৈতিক দল যুগ্মভাবে এই আসনগুলো পেলে যুক্ত সরকার গঠন করতে পারবে। তবে সংসদের উভয় কক্ষে এক চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনের পাশাপাশি একই সঙ্গে দেশটিতে রাজ্য এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রাদেশিক পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ আসন নির্ধারিত থাকে সামরিক বাহিনীর জন্য।
নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা পরবর্তীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং দুই জন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
সাধারণ নির্বাচন হলেও এবার বেশ কয়েকটি বিদ্বেষপূর্ণ স্থানে ভোট প্রদানের কোনো ব্যবস্থা করেনি দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদের এই নির্বাচনের বাইরে রাখা হচ্ছে। এদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও রয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
এদিকে বিগত ২৯ অক্টোবর আগাম ভোটের মাধ্যমে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন অং সান সু চি। এই নির্বাচনে বিজয়ী দল ২০২১ সালের মার্চ মাসে সরকার গঠন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এসএইচএস/এএটি