চূড়ান্ত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল। শিগগিরই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
আমেরিকার সংবিধান মোতাবেক এখন পর্যন্ত যেসব প্রেসিডেন্ট অবসরে গিয়েছেন, তাদের সবার জন্যই সরকারি খাত থেকে একটি মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ থাকে প্রতি বছরের বাজেটে। বলতে গেলে সাবেক প্রেসিডেন্টদের যাবতীয় খরচ বহন করে সরকার।
সেই সূত্র ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবসরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাবেন অভিজাত এলাকায় অফিস পরিচালনার জন্য বিশাল জায়গা। যার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। এছাড়া ওই অফিসে যেসব কর্মী কাজ করবেন, সরকার বহন করবে তাদের খরচও। আর বিভিন্ন ভ্রমণ ও টেলিফোন খরচ বাবদ ভাতা পাবেন ‘সাবেক’ হতে চলা এই প্রেসিডেন্ট।
শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, বরং অবসর নেওয়ার পর সরকারি সুবিধা পাবেন প্রেসিডেন্টের পরিবারও। ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধার সব খরচই বহন করবে সরকার। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রী আজীবন পেনশন পাবেন বছরে ২০ হাজার ডলার। সঙ্গে তারাও পান ঘোরাঘুরি, টেলিফোন ও যোগাযোগের যাবতীয় খরচ।
আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী, সব সাবেক প্রেসিডেন্টই বেতন পান প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটের সদস্যদের মাইনের মতো। ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল বছরে ২ লাখ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। আমেরিকার যে ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট অবসরে গিয়েছেন, তাদের সবার জন্যই সরকার এসব সুবিধা দিয়ে আসছে।
সরকারি এমন সব সুবিধা ছাড়াও আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কর্পোরেট সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানা প্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়েও উপার্জন করেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে।
অবসর নেওয়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের জায়গার জন্য খরচ জানানো হয়েছিল ৫ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ঘোরাঘুরির জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৮ হাজার ডলার। বিভিন্ন আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উপার্জন করেছিলেন সাড়ে ৬ কোটি ডলার। আর আত্মজীবনী ছাপিয়ে তিনি রোজগার করেছিলেন দেড় কোটি ডলারেরও বেশি। এই সব সুবিধায় এখন পাবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এইচএমএস/এএ