কাশ্মীরের পুলওয়ামার পাম্পেতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে আত্মসমর্পণ করেছেন খইর সুলতান মীর নামে এক সন্ত্রাসী। এসময় পুলিশ তাকে এনকাউন্টারে হত্যা না করায় তিনি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আত্মসমর্পনের পর তিনি ‘এনকাউন্টারে হত্যা একটি লজ্জার বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে তিনি তার দলের সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খইর সুলতান বলেন, আমি ১ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গিবাদে যোগ দিয়েছি। আমি এখানে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছে। তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। আমি আমার দলের কর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই, এই সমস্ত ফাঁদ, রক্তপাত, এটি আমাদের জন্য লজ্জার। এতে কিছুই নেই।
কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সরাসরি লড়াইয়ে যখন সন্ত্রাসীরা নিহত হয়, তখন আত্মসমর্পণ করলে খইর সুলতানকে বাঁচানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এমন বিষয়গুলো পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা আরো বাড়িয়ে তুলছে বলেই মনে করছে প্রসাশন।
এ বিষয়ে কাশ্মীরের পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার জানান, এবছর সরাসরি সংঘর্ষের সময় ৯ জন সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের সবাইকেই পুলিশের পক্ষ থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সুলতান খইরের ঘটনাটি এক মাসে পঞ্চম আত্মসমর্পণ, যা পুলিশ বাহিনীর উপর জনসাধারণের আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাতে ওই অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তাকর্মীদের দিকে নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। এসময় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানি নাগরিক। আত্মসমর্পণকারী সুলতান খইর পাম্পোরের দ্রাংবালের বাসিন্দা। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এইচএমএস/এএ