ঢাকা: ২৯০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে জয়লাভ করলেও জো বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে সংশয় এখনই কাটছে না।
নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নিয়োজিত সংস্থার প্রধান ট্রাম্পপন্থী হওয়ায় এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিজয়ী প্রার্থী দায়িত্ব নেবেন নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি। সেই হিসেবে দেশটির ৪৬তম এবং প্রবীণতম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শুরু হবে জানুয়ারির ২০ তারিখ দুপুর ১২টায়। সে পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকবেন দেশটির বর্তমান এবং পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির যে সংস্থা কাজ করে, সেটি হচ্ছে জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। শনিবার (৭ নভেম্বর) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সংস্থাটি নতুন প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াই শুরু করেনি এখনো। সংস্থাটিকে এ বিষয়ে এক রকম উদাসীন দেখা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমে মন্তব্য করা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান এমিলি মার্ফি নিয়োগ পান ট্রাম্প প্রশাসনের সময়। জো বাইডেনের কাছে কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো ইঙ্গিত দেননি মার্ফি।
এদিকে জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন ছাড়া জো বাইডেন শিবির কোনো সরকারি তহবিলের এখতিয়ার পাবেন না। কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গেও বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগাযোগ করতে পারবেন না।
বাইডেন ইস্যুতে জেষ্ঠ্য রিপাবলিকান সিনেটররাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। একপক্ষ প্রকাশ্যে বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানাতে চাচ্ছেন না, আরেক পক্ষ প্রকাশ্যে বাইডেনের বেশ বিরোধিতাও করছেন।
এ বিষয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থী জানান, পুনরায় গণনার দাবি ওঠা ভোটগুলো আবারও গণনা করা হলে এবং সব মামলার নিষ্পত্তি হলে কেবল তখনই বলা যাবে যে, নির্বাচনে কে বিজয়ী হলেন।
অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো রিপাবলিকান নেতাও বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এসএইচএস/এইচএমএস/এএ