জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চীন সরকারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে উইগুরদের এক নেতা বলেছেন, বিশ্বের প্রত্যেক উইগুরই মুক্তিযোদ্ধা এবং আমাদের জনগণকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।
পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা দিবস স্মরণে বিক্ষোভ চলাকালে জ্বালাময়ী ভাষণে ওই নেতা বলেন, আমাদের জনগণকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। আমরা পিছনে সরে যাব না। আমাদের অধিকার আছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টায় আপনার (চীন সরকার) বিরুদ্ধে লড়াই করার মৌলিক অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে। সে কারণে আজ আমি বিশ্বের প্রত্যেক উইগুরকে বলতে চাই, বিশ্বের সকল উইগুর একেকজন মুক্তিযোদ্ধা।
গত ১২ নভেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত উইগুর মুসলিমরা চীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। এর মধ্যে পূর্ব তুর্কিস্তানে এক কোটির বেশি উইগুর মুসলিমের বসবাস। জিনজিয়াং মোট জনসখ্যার ৪৫ শতাংশই উইগুর। তাদের অভিযোগ, সংস্কৃতি, ধর্ম ও অর্থনৈতিকভাবে তাদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে চীন সরকার।
মার্কিন কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনজিয়াংয়ে মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় সাত শতাংশ এখন চীন সরকারের বন্দি শিবিরে রয়েছে।
পূর্ব তুর্কিস্তান সরকার বলছে, উইগুর, কাজাখ, কিরগিজ, উজবেক, তাতার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য ৭১ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ছয় বছরে পূর্ব তুর্কিস্তানের ১০ লাখের বেশি মানুষকে, বিশেষ করে মুসলিমদের কারিগরি শিক্ষা এবং পুনর্বাসনের নামে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে, কারাগারে এবং শ্রমশিবিরে আটকে রাখা আছে। অনেককেই তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে চীন সরকারের নির্দেশ পালনে বাধ্য করার জন্য।
সেই সব বন্দিশিবিরে উইগুরদের নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যদিও চীন সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সূত্র : এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এমজেএফ