চীনের কমিউনিস্ট শাসনে ক্ষুণ্ন হচ্ছে পবিত্র কোরআনের মর্যাদাও। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এই খবর সম্প্রচারিত হয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়াতে।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুরদের পবিত্র কোরআন বা অন্য কোনও ধর্মগ্রন্থ সঙ্গে রাখতে দিচ্ছে না কমিউনিস্ট সরকার। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)-র কাছে কোরআন পাঠ অপরাধ। তাই উইগুরদের কোরআন-চর্চা চীনের চোখে অপরাধ। কারও কাছে কোরআন পেলেই শুরু হচ্ছে অত্যাচার। পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে সঙ্গে রাখার অপরাধে কারাদণ্ডও ভোগ করতে হচ্ছে তাদের।
জিনজিয়াং-এর এমন পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের নীরবতা উইগুরদের আরও অসহায় করে তুলেছে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে উইগুর মুসলিমরা প্রথম দিকে কোরআন মাটির নিচে লুকিয়ে রাখতেন। কিন্তু সেখানেও চোখ পড়েছে চীনা পুলিশের। তাই এখন তারা প্লাস্টিকে মুড়ে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছেন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। আর বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে বেশ সক্রিয় চীনা প্রশাসন। কিন্তু পাশ্চাত্যের মিডিয়া বিভিন্ন সূত্র মারফত কমিউনিস্টদের অত্যাচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিষয়ে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত উঠে আসছে চাইনিজ বর্বরতার ছবিও।
কাজাকিস্তানের আলমাটির পানফিলোভ জেলার আইদার্লি গ্রামে ইলি নদীতে পাওয়া গেছে কয়েকটি কোরআন। চীনে নদীতে কোরআন ভাসিয়ে দেয়া এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার হিসাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। সম্প্রতি ইলির পাশাপাশি খোরগা নদীতেও এমন কাণ্ড হয়েছে। নিজেদের জীবন আর পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সম্মান রক্ষার্থে চীনের মুসলিমদের সামনে এটাই একমাত্র রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নদীতে ভাসানোর আগে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা আর আস্থার সঙ্গে তারা কোরআন শরিফ ভালো করে প্লাস্টিক দিয়ে প্যাক করেন, যাতে গ্রন্থের কোনো ক্ষতি না হয়। এরপর গোপনে তারা ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ।
বর্তমান শাসক ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জিনজিয়াংয়ে কোরআন উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে চীনা পুলিশ।