ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সংরক্ষিত পাখি শিকারের অনুমতি দিল পাকিস্তান 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
সংরক্ষিত পাখি শিকারের অনুমতি দিল পাকিস্তান 

শিকার নিষিদ্ধ ও আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত ‘হাওবারা বুস্টার্ড’ পাখি হত্যার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। এমনিতেই পাকিস্তান প্রাণী সংরক্ষণে উদাসীনতা ও শিকারীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিশ্বে নিন্দিত।

এর মধ্যেই দেশটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং তার পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি শিকারের বিশেষ অনুমতি দিল।

হাওবারা বুস্টার্ড আইইউসিএন-এর ‘সংরক্ষিত তালিকার’ অন্তর্গত। অর্থাৎ এ জাতের পাখি বিশ্বব্যাপী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এ পাখির বিলুপ্তির প্রধান কারণ, নিয়ন্ত্রণহীন শিকার ও তাদের প্রাকৃতিক আবাস নষ্ট করা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে হাওবারা বুস্টার্ড একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতি। শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয় এ পাখি শিকার স্থানীয় বন্যজীবন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ীও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানিদের এই পাখি শিকারের অনুমতি নেই।  

এটা স্পষ্ট যে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রভাবিত করার জন্য পাকিস্তান শিকারের অনুমতিকে পররাষ্ট্রনীতি হিসাবে ব্যবহার করছে। সূত্রমতে, অন্য শিকারীরা হলেন আমিরের বাবা, ভাই, কাতারের প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাই এবং রাজপরিবারের কিছু সদস্য।

টাকার বিনিময়ে শিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তান কুখ্যাত। এ দেশে বিপুল টাকার বিনিময়ে মার্খোর এবং আইবেক্স শিকারের অনুমতি দেওয়া হয়। হতাশার বিষয় হচ্ছে মার্খোর পাকিস্তানের জাতীয় পশু। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে এ দেশের মানুষ তাদের জাতীয় পশু হত্যা করে।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।