ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আগামী সপ্তাহেই ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফোর্ডের টিকা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
আগামী সপ্তাহেই ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফোর্ডের টিকা 

আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত সরকার। জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য প্রায় পুরো প্রক্রিয়া শেষ বলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত দু’টি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

ওই দুই সূত্রের দাবি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার ভারতে প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে অতিরিক্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিলো। সেই তথ্য জমা দিয়েছে সংস্থাটি। এতে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। এই টিকা নিয়ে আশা বাড়ছে ভারতবাসীদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের এই টিকায় সবুজ সংকেত দিলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই হবে প্রথমদেশ। কারণ, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এখনও টিকার কার্যকারিতা এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল যাচাই করছেন।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনার টিকা তৈরি করেছে ওষুধ প্রস্তুতাকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।  

ওই টিকা ভারতে তৈরি করছে ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’। চলতি মাসে গোড়ায় দেশে মোট ৩টি সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট, ফাইজার ও ভারত বায়োটেক তাদের টিকা জরুরিভিত্তিতে মানবদেহে গণপ্রয়োগের আবেদন জানিয়েছিলো।  

গত ৯ ডিসেম্বর সেই আবেদনগুলো খতিয়ে দেখে অনুমোদকারী সংস্থা সিডিএসসিও। তারপর ওই সংস্থাগুলোর কাছ থেকেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আরও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠায় সিডিএসসিও।  

বাকি দু’টি সংস্থা অবশ্য এখনও অতিরিক্ত তথ্য জমা দেয়নি বলেই ওই দু’টি সূত্র জানিয়েছে।

সিডিএসসিও’র ওই দু’টি সূত্র জানিয়েছে, শুধু সিরামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নয়, অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্রিটেনের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আগামী সপ্তাহেই অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্রিটেন, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, একটি ডোজ নিলে কোভিডের বিরুদ্ধে ৬২ শতাংশ সাফল্য মিলছে। দু’টি ডোজ বা টিকার কোর্স সম্পূর্ণ করলে সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ। ভারত সরকার অবশ্য দু’টি ডোজের পথেই এগোচ্ছে। এই টিকার আরও সুবিধা হলও, ভারতের মতো নাতিশীতোষ্ণ দেশে এই টিকার সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধাজনক। কারণ, সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই এই টিকা সংরক্ষণ করা যায়। তা ছাড়া অন্যান্য টিকার তুলনায় এর দামও কম। এই দু’টি বিষয়ের কথা মাথায় রেখেও অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে অক্সফোর্ডের টিকা।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা তৈরি হয় ভারতেই। তার মধ্যে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদন করে সিরাম ইনস্টিটিউট।  

সংস্থার আধিকারিকরা বলেছেন, সিরাম প্রস্তুত, প্রাথমিকভাবে আমরা ৫ থেকে ৬ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারি। তবে, সিডিএসসিও’র প্রধান ভিজি সোমানি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।