ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আফ্রিকায় নতুন ভাইরাস, বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারির আশঙ্কা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
আফ্রিকায় নতুন ভাইরাস, বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারির আশঙ্কা!

মানুষের জন্য মারাত্মক কিছু ভাইরাস বাসা বেঁধে আছে আফ্রিকার বনে। সে ভাইরাসগুলো যদি কোনোভাবে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়, তাহলে বিশ্বে একাধিক মহামারি দেখা দিতে পারে।

এমনই সতর্কবাণী দিয়েছেন চার দশক আগে ইবোলা ভাইরাস সন্ধানী বিজ্ঞানী।

তার সাবধান বার্তা উসকে দিয়ে সম্প্রতি কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রান্তিক শহর ইনগেন্ডেতে এক নারীর শরীরে দেখা দিয়েছে অজানা জ্বর ও রক্তক্ষরণের উপসর্গ। খবর ডেকান হেরাল্ড, সিএনএন ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

সংবাদসংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পর একাধিক রোগের আশঙ্কায় ওই নারীকে ইবোলাসহ নানা ভাইরাসের খোঁজে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরও কোনও নির্দিষ্ট জীবাণুকে চিহ্নিত করা যায়নি। এই কারণে, অজানা এই উপসর্গকে ‘ডিজিজ এক্স’ বা এক্স অসুখ নামে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।  

বিশেষজ্ঞদের দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় এই রোগ কোভিড-১৯ এর মতোই দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মারণ ক্ষমতা প্রায় ইবোলার মতো অর্থাৎ ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ। যদিও ইবোলা সদৃশ উপসর্গে ভোগা ওই নারী আপাতত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত ডিজিজ এক্স এই মুহূর্তে ধারণাভিত্তিক হলেও ব্যাপক সংক্রমণ ঘটলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অতিমারী দেখা দিতে পারে।  

১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক জাঁ-জ্যাক মুয়েম্বে তামফুম জানিয়েছেন, “আমরা এমন এক পৃথিবীতে এখন বাস করছি, যেখানে নিত্যনতুন জীবাণু দেখা দিতে পারে। আর সেটাই মানব সভ্যতার পক্ষে আতঙ্কের। ”

এই সমস্ত জীবাণু যে কোভিড-১৯ এর চেয়েও ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হবে, তাও জানিয়েছেন এই অধ্যাপক।

মুয়েম্বের মতে, ভবিষ্যতে পশুদেহ বাহিত বেশ কিছু ভাইরাস মানবশরীরে সংক্রমিত হয়ে ভয়াবহ রোগ ছড়াবে। বর্তমানে আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় কিনশাসা শহরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সংস্থা চালান মুয়েম্বে।  

সিএনএন-কে তিনি জানিয়েছেন, “যদি আফ্রিকা থেকে কোনও জীবাণু আত্মপ্রকাশ করে, তা হলে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে। নতুন ভাইরাস যদি তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, তা হলে ইউরোপ ও সমগ্র বিশ্বে তার মোকাবিলায় নতুন কৌশল উদ্ভাবন করার সম্ভাবনা থাকবে। ”

প্রসঙ্গত, কোভিড সংক্রমণ সৃষ্টিকারী সার্স কভ-২ ভাইরাস চীন থেকে উৎপন্ন হয় বলে মনে করা হয়। এই ভাইরাস আদতে বাদুড়-বাহিত বলে মত বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানীর। পশুদেহ বাহিত ভাইরাস মানবশরীরে ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে তারা অরণ্য উচ্ছেদ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।