ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কুলভূষণ যাদবের বিচারে আইসিজের রায় মানা হয়নি: নয়াদিল্লি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
কুলভূষণ যাদবের বিচারে আইসিজের রায় মানা হয়নি: নয়াদিল্লি

ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এ বিচারে আন্তর্জাতিক আদালত বিচারকের (আইসিজে) রায় মানা হয়নি বলে নিন্দা জানিয়েছে ভারত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এ নিন্দা জানান।

এর আগে পাকিস্তানের তরফে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ মেনে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে চলা এই সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে যাতে নয়াদিল্লি সহযোগিতা করে সেই আহ্বান জানায়। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব প্রহসন বলে অভিযোগ ভারতের। নয়াদিল্লির দাবি, ইসলামাবাদ মুখে এই ধরনের কথা বললেও কুলভূষণ যাদব-কে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনো সদিচ্ছাই দেখাচ্ছে না। এমনকি ভারতীয় আইনজীবীকে এই মামলা লড়তে না দিয়ে বিচারের নামে নাটক করার চেষ্টা করছে। সত্যিই যদি তাদের মনোভাব ভাল হত তাহলে কোনো শর্ত ছাড়াই কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হত কুলভষণ যাদবকে। এমনটাই নির্দেশ দেয়েছিল আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত।  

কুলভূষণ যাদব মামলায় আইসিজে রায় কার্যকর করার বিষয়ে পাকিস্তান তার দায়িত্ব পালন না করার জন্য ভারত বারবার অভিযোগ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, কুলভূষণ যাদবের বিষয়ে পাকিস্তান সরকার অভিযোগটির বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে চ্যালেঞ্জ করার পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি দৃড় ভাবে বলেন,"পাকিস্তানকে তাদের চিঠি ও চেতনায় আইসিজে-এর রায় কার্যকর করতে হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি সরবরাহের বিধান রাখতে হবে এবং শ্রী যাদবকে নিঃশর্ত, নিরপেক্ষ ও অবাধ কনস্যুলার অ্যাক্সেস সরবরাহ করতে হবে।

এর আগে পাকিস্তান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ইসলামাবাদ আদালত বলেছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের তাদের অবস্থান পেশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে ভারত বলেছিল, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ভারত আরো বলেছে, এই ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিকারের জন্য পাকিস্তান সব পথ অবরুদ্ধ করেছে।

পাকিস্তানের দাবি ছিল, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে কুলভূষণ যাদবকে বেলুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ভারত পাকিস্তানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তাকে ইরানি বন্দর চাবাহার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।

২০১৭ সালের শুরতে, পাকিস্তানের সামরিক আদালত যাদেবকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত ভারতের এই দাবিকে সমর্থন করে যে পাকিস্তান বিভিন্ন দিক থেকে কনস্যুলার সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে।

সূত্র: এএনআই, লেটেস্টলি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।