ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উইগুরদের ভাষা বিলুপ্ত করে দিচ্ছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
উইগুরদের ভাষা বিলুপ্ত করে দিচ্ছে চীন

চীন যখন জিনজিয়াং অঞ্চলে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ অস্বীকার করছে, তখন আরেকটি বিষয় সামনে এসেছে, আর তা হলো এই অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উইগুর ভাষায় শিক্ষা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।  

কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ) জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াংয়ে উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের (জুয়ার) কেপলিন কাউন্টি আর ছাত্রদের উইগুর ভাষায় শিক্ষা প্রদান করে না, যদিও সেখানে উইগুর জনসংখ্যা অনেক বেশি।

তাছাড়া জাতীয় আইন অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের দ্বিভাষিক শিক্ষার অধিকার আছে।  

কেলপিন কাউন্টির একজন উইগুর ব্যক্তির একটি অডিও রেকর্ডিং আরএফএর কাছে এসেছে। ওই ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ওই অডিও রেকর্ড অনুসারে তিনি নিজ শহরে শিক্ষা ব্যুরোর কাছে একটি ফোন করেন এবং তার প্রতিবেশীদের সন্তানদের কীভাবে রাখা হবে সে সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। স্কুলে... একজন ব্যক্তি নিজেকে কেলপিন ব্যুরো অফ এডুকেশনের একজন কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কলারকে বলেছেন, সে পাঁচ এবং সাত বছর বয়সী দুই শিশুকে ব্যুরো অফিসে নিয়ে আসতে পারে। যখন কলারটি শিশুদের কোন ভাষায় পড়াশোনা করবে তা ব্যাখ্যা করতে বলা হলে ব্যুরোর কর্মচারী বলেন, কেলপিনে শিক্ষা জাতীয় ভাষা বা মান্দারিন চীনা ভাষায় পরিচালিত হয়।

উইগুর হওয়া সম্ভব কিনা জানতে চাওয়া হলে ওই কর্মচারী বলেন, জাতীয় ভাষাই এখন আদর্শ।

অডিও রেকর্ডিং পাওয়ার পর, আরএফএ কেলপিন ১ নম্বর কাউন্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে একই ধরনের সাড়া পেয়েছে।

স্কুলের একজন প্রশাসক আরএফএকে জানিয়েছেন, কেলপিনের স্কুলগুলো আর উইগুর  ভাষা শেখায় না।  

প্রশাসক আরও বলেন, উইগুর ভাষায় কথা বলা [স্কুলের ভিত্তিতে] অনুমোদিত নয়। কর্মীরাও এ ভাষায় স্কুলে কথা বলতে পারেন না।  

উইগুর মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, উইগুরদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করছে চীন। এছাড়া তাদের ক্যাম্পে বন্দি করে জোরপূর্বক পুনঃশিক্ষা বা চীনা মতবাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।  

অন্যদিকে বেইজিং জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে তারা জিনজিয়াং-এ উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত নয়।  

সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিশন একটি নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, চীন সম্ভবত তার পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে উইগুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।

কংগ্রেশনাল-এক্সিকিউটিভ কমিশন অন চায়না (সিইসিসি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সরকার এবং কমিউনিস্ট পার্টি সেন্সরশিপ ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে চীনের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করছে। সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।